Saturday 28 August 2010

বঙ্গবন্ধু ॥ কালে কালান্তরে-------আবদুল লতিফ সিদ্দিকী

ইতিহাস-প্রসঙ্গে মহাভারতের একটি উক্তি আমার মনে আলোকসম্পাত করে একটু ভিন্ন-রকম কৌণিকতায় এবং কালের কটাক্ষে তার একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ উপযোগিতা আবিষ্কার সম্ভব। সংস্কৃতে আমার দখল নেই, প্রবেশাধিকার কিংবা গেটপাসও কখনো পাইনি, পেতে চেষ্টা করিনি। অনুবাদের এঁটোকাটা চেখে না দেখে এ-অবস্থায় উপায়ান্তর কী! বেশ, তাহলে তো ভাষান্তরের ভান্ডার থেকে রসদ হাতিয়ে নেওয়াই সহজ। পরিহাস এই ঞযব ষধসঢ় ড়ভ যরংঃড়ৎু ফবংঃৎড়ুং ঃযব ফধৎশহবংং ড়ভ রমহড়ৎধহপব মহাভারতের বাণী আমার হাতে পৌছে পেঙ্গুইন বুকস প্রকাশিত ঝধসব-ঝবী খড়াব রহ ওহফরধ : অ খরঃবৎধৎু ঐরংঃড়ৎু নামক গ্রন্থের আলঙ্কারিক সংযোজন-সূত্র ধরে। এই দীর্ঘ ভণিতা অকারণ নয়'ইতিহাসের আলোকবর্তিকা' শব্দযুগ্মের উচ্চারণমাত্র গুঞ্জরিত আলোর প্রতিভাস যেমন শাশ্বত সত্যের মতো মনোলোকে সঞ্চারিত, 'মাতৃকা'র ইতিহাস-সংস্কৃতি যে হাল-সুরতে বহাল দেখি তাতে ফধৎশহবং ড়ভ রমহড়ৎধহপব কথাটির ব্যঞ্জনা সবকিছু ঘোলাটে করতে চায়। এটা এজন্য যে, বঙ্গবন্ধু-হত্যা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে হিড়িক-পড়া ইতিহাস-বিকৃতির বিরোধিতায় জ্ঞানতত্ত্ব তথা ঃযব ষধসঢ় ড়ভ যরংঃড়ৎু-এর স্মরণ জরুরি।
যে-কালে বঙ্গবন্ধুর জন্ম, বিকাশ ও প্রস্থান তা ঐতিহাসিক প্রামাণিকতার প্রতিকূল নয় কোনো অর্থেই, তারপরও তাঁর বিষয়ে, বিশেষত তাঁর বিপক্ষে চালিত হত্যা-অভিযান সম্পর্কে এত বিতর্ক-বিসংবাদ কেন, এত গলদ-প্রবাহের কারণ কী, সে বিষয়ে তথ্যপাত ও যুক্তি-নিরীক্ষণই বর্তমান নিবন্ধের উপলক্ষ। কথাবার্তায়, আলাপচারিতায়, বোলচালে, তর্ক-বিস্তারে সাধ্যমতো সংক্ষিপ্ত হওয়ারও যে চেষ্টা করবো, সে বিষয়টিও বলে রাখি।
১৫ আগস্ট, ১৯৭৫ মহাকালের এমন-এক স্টেশন যা আজ থেকে মাত্র ছত্রিশ বছর আগে ঢাকা শহরের প্রাণকেন্দ্রে একটি ধ্বংসাত্মক পলক ফেলে, যাতে সবার জানা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হন। যে-সময়ে তিনি বাস করছিলেন তা কী তাঁর ওপর এতটা ক্ষিপ্ত হয় যে তাঁর প্রাণহরণ সময়ের জন্য জরুরি হয়ে পড়ে? প্রমাণ অসম্ভব নয় যে, সময় তার নিজের গতিতে ছিলো না, স্বাধীনতাবিরোধী প্রেতাত্মা তার কালো ডানা কালের ওপর বিস্তৃত করে তার স্বাভাবিকতাকে হরণ করে। তাই আগস্ট পঁচাত্তর বঙ্গবন্ধুর জন্য ছিল অশনিসঙ্কেত। প্রশ্ন উঠবে সময়ের ওপর যারা কর্তৃত্বের স্পর্ধা রাখে ওরা কারা, ওদের খুঁটির গোড়া কোথায় এবং ওরা তাহলে নমস্য কি-না। নমস্য অবশ্যই নয়। ওরা চিহ্নিত বিশ্বাসঘাতক এবং ঘাতকতার শক্তি বাড়াতে শয়তানের সহযোগিতা গ্রহণকারী। মনে রাখা দরকার, ওরা সেই শয়তান শ্রেণীগোষ্ঠী যার বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু আজীবন যুদ্ধ করে বিজয়ী হন। যুদ্ধে তিনি যে-নীতি অবলম্বন করেন, সত্য বটে, প্রশাসনে তা করেননি তিনি ক্ষমা করেছিলেন। শয়তান এই হাতিয়ারটি হাতে তুলে নিয়ে তার অপব্যবহারে মেতে ওঠে। তাঁকে নির্দয়-নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে। এ-হত্যায় তিনি বিজয়ী, হত্যাকারীরা বিজিত। কারণ তিনি ছিলেন সত্যপক্ষ, আর ওরা মিথ্যাবাদী ঘাতক, ইতিহাসের খড়কুটো মাত্র।
আধুনিক জীবন-বীক্ষায় নারী ও শিশুর প্রতি বিশেষ সংবেদ প্রদর্শিত হয়ে থাকে, কিন্তু বঙ্গবন্ধু-পরিবারের নারী-শিশু সেদিন নূ্ন্যতম মানবিক অনুকম্পা থেকেও বঞ্চিত হয়। শিশু রাসেল তার কী দোষ? দোষ তবু তার ছিলো বঙ্গবন্ধুর রক্ত কেন তার ধমনীতে, শিরা-উপশিরায়, কেন সে সত্যের অধিকার এমন কি তাঁর উত্তরাধিকারের সম্ভাবনা বহন করবে? অভিশপ্ত ঘাতকচক্রের নিকট হুমকি বা প্রতিপক্ষ প্রতিপন্ন হয়েছে সে। এ-থেকে তাদের ষড়যন্ত্রের লক্ষ্যমাত্রা সম্পর্কে অবহিত হওয়া যায়। ক্ষমতার প্রলোভন তাদের স্খলন ও বিপথগামিতার মুখ্য কারণ না হলে রাসেলের মতো অবুঝ শিশুসন্তানের প্রতি অমন নিষ্ঠুরতা প্রদর্শনের প্রয়োজন পড়বে কেন? বঙ্গবন্ধু-পরিবারের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ শূন্যতার চোরাবালিতে আটকে দিয়ে ক্ষমতার খোলনলচে পাল্টে দেওয়াই ছিলো তাদের উদ্দেশ্য এভাবেই ছক মোতাবেক তারা সর্বোচ্চ ফায়দা লুটে নেওয়ার ফন্দি করেই অভিযান চালায়। কিন্তু বঙ্গবন্ধু তো একেবারেই আলাদা ধাতের মানুষ, যেটা পর্যবেক্ষকবৃন্দের অজানা নয়। ঐ-একদিনের বিচ্ছিন্ন (যদিও তা অবিচ্ছিন্ন, বৃহৎ অর্থে) নৃশংসতায় হারিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি পৃথিবীতে আসেননি। এজন্য তাঁকে বাঁচতে হয়েছে, তীব্রভাবে তিনি বেচে আছেন, আঘাতের ক্ষতস্থানকে ফুলে এবং সৌরভে রূপান্তরিত করে, সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত এবং.....
প্রেমের অনুভূতির মধ্যে মানবিক নিরাপত্তার প্রত্যাশা সুশীল-সভ্য মানুষের জন্য এক স্বাভাবিক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। বঙ্গবন্ধুর সংবেদনশীল হৃদয়ে বাঙালি জনগোষ্ঠীর প্রতি মমতা-নিবিষ্ট প্রেম ও দেশমাতৃকার মঙ্গলের প্রতি স্বনিষ্ঠ ভালবাসা সঞ্চিত ছিল বলেই সশস্ত্র নিরাপত্তার বিষয়টিকে আনুষ্ঠানিকতা ও ঐতিহ্যিক উপায়-পন্থা হিসেবেই দেখেছেন। তা না হলে অস্ত্রের নিরাপত্তাকেই তিনি হৃদয়বৃত্তিক নিরাপত্তার উপরে ঠাঁই দিতে পারতেন। ধানমন্ডি বত্রিশ নম্বর সড়কের নিরাপত্তা বেষ্টনী হতে পারত অধিকতর দুর্ভেদ্য ও দূরতিক্রম্যতা যে হয়নি তার পেছনে বঙ্গবন্ধুর মানবিক রোমান্টিকতা ও প্রেমিকসুলভ ঔদাসীন্য কিছুমাত্রায় দায়ী। জাতিসত্তার মর্যাদার সঙ্গে জড়িত একটি জাতির সার্বভৌম বিচার-পদ্ধতি। কিন্তু ঘাতকগোষ্ঠীর আরোপিত কুখ্যাত 'ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ' বিচারিক স্বতঃস্ফূর্ততায় হস্তক্ষেপের মাধ্যমে ১৫-আগস্ট হত্যাকান্ডকে ক্রমপ্রবাহিত এক নৃশংস নাট্যযজ্ঞে রূপ দেয়। ১২ জুন ১৯৯৬-এর নির্বাচনী বিজয়ের দামন ধরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পরিচালিত সরকার মাত্র পাঁচ মাসের মাথায় ১২ নভেম্বর ১৯৯৬ কুখ্যাত ইনডেমনিটি বিল বাতিলের মাধ্যমে জালেমের যাঁতাকল সরিয়ে দিয়ে ১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর কুখ্যাত পনের খুনিকে প্রকাশ্য ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ড প্রদানের জন্য বঙ্গবন্ধু-হত্যা মামলার ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করে।
সকাল যেমন রশ্মির চারু রেখায় পুরো দিবসের সমস্ত সম্ভাবনা ফুটিয়ে তোলে, বঙ্গবন্ধুর শৈশব তেমনি তাঁর উত্তরকালের জীবনছবি অবলীলায় মেলে ধরে। টুঙ্গিপাড়ার 'খোকা' শেখ লুৎফর রহমান ও সাহারা খাতুনের সাংসারিক গ-ি পেরিয়ে বিশ্বসংসারের বৃহৎ পরিসরে আবির্ভূত। বেরিবেরি রোগের প্রহারে তাঁর চোখে যে অপারেশন হয়, তাতে তাঁর দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পেতে পারত। আসলে তা না হয়ে দৃষ্টিশক্তি আরো বেড়ে যায় সেদিন থেকেই যেন তাঁর দূরদৃষ্টির দুয়ার খুলতে শুরু। স্কুলের ছাদ দিয়ে পানি চুঁইয়ে পড়ার সমস্যা সমাধানে অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ারদীর্র নিকট আর্জি পেশ, পাকিস্তান আন্দোলনে একাত্মতা, নিখিল-ভারত মুসলীম লীগ ছাত্র ফেডারেশনে যোগদান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুথ শ্রেণীর কর্মচারীদের অধিকার-আদায় আন্দোলনে নেতৃত্বদান প্রভৃতি ঘটনার মধ্য দিয়ে তাঁর বৃহৎ জীবনের সঙ্কেত স্পষ্টতর হয়ে উঠতে থাকে। জীবনের পরবর্তী অধ্যায়গুলোতে যা-কিছু তিনি করেন, যা কিছু তিনি করান, যা-কিছু তিনি বরণ করেন, যা-কিছু প্রত্যাখ্যান করেন তাঁর মধ্য দিয়ে তিনি মৃত্যুকে উপেক্ষা করতে শেখেন। ঘাতকচক্র এ-গরমিলের সত্যটি বুঝে উঠতে পারেনি। তাই হত্যা করে ওরা তাঁকে অমরত্বের পথে একধাপ এগিয়ে দেয়।
স্বাধীনতা-যুদ্ধে তাঁর আক্ষরিক ও প্রতীকী সেনাপতিত্ব, প্রশাসনে তাঁর সংস্কার-চিন্তা ও বাস্তবায়ন-প্রচেষ্টা, দেশ-মানবতার প্রতি অকুণ্ঠ প্রেম, সমতা ও সমাজতন্ত্রের প্রশ্নে তাঁর উদার ইহজাগতিকতার সবুজ-সঙ্কেত, তস্কর-লুণ্ঠিত মাতৃকার পুনর্গঠন ও দ্বিতীয় বিপ্লবের অভীক্ষায় উন্নয়ন-অভিযান প্রভৃতি দুঃসাহসিকতার চাপ জাতির কতিপয় কুলাঙ্গার যে সইতে পারেনি তা কী তাঁকে ক্ষুদ্রতার গন্ডিতে পুরতে পেরেছে! তাঁর দেশ-পরিচালন পর্বে যা-কিছু তাদের দেখতে হয়েছে তার জন্য তারা, যদি ধরে নিই প্রস্তুত ছিলো না, তাহলে তাদের কি উচিত ছিল না এমন এক রাজনৈতিক পন্থা বাতলে দেওয়া যা সকল অর্থে বঙ্গবন্ধু-অবলম্বিত উপায়াদর্শ অপেক্ষা শ্রেয়তর?
নতুন রাষ্ট্রে তখন বৈশ্বিক গোয়েন্দা চক্রের আনাগোনা, পরাজিত পাকিস্তান আদর্শের প্রেতাত্মার চোরাগোপ্তা বিচরণ, আদর্শচ্যুত মুক্তিযোদ্ধার উৎপাতসহ নানা দুর্বল লক্ষণ জাতিকে তখন অতিক্রম করতে হয়। এমন একটি সময়ে যুদ্ধক্লান্ত যুবশক্তি ও কারাদন্ডিত সেনাপতির স্থিতির ঘাটতি কী করে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে একটি প্রাচুর্যময় জাতি-সংহতি উপহার দেওয়া সম্ভব? প্রশাসনিক নেতৃত্বের প্রশ্নে বাংলাদেশ ভূ-খন্ডে তখন শ্রেয়তর বিকল্প কি কেউ দেখিয়ে দিতে পারত? বঙ্গবন্ধুর ঐ বিশাল ব্যক্তিত্ব ও প্রবাদপ্রতিম জনপ্রিয়তার বিপরীতে শক্ত-পায়ে সোজা দাঁড়িয়ে নিজেকে বিকল্প নেতৃত্বরূপে হাজির করার স্পর্ধা যদি একটিমাত্র বাঙালির মনে থাকা সম্ভব হতো তাহলে না হয় তাঁর শাসনভার গ্রহণের বিপক্ষে যুক্তির অবকাশ থাকতে পারত।
সমাজের গুণগত উত্তরণ ও মহৎ-প্রতিভার মধ্যে পারস্পরিকতার অনুপাত বিসদৃশ হলে সমাজের চালু সংস্কৃতি-পরম্পরা প্রায়ই তার আত্মীকরণে অক্ষম। সমাজ আধার, ব্যক্তি আধেয়। আধারের স্বাস্থ্য ও প্রসারতা প্রমিত না হলে আধেয় তার পূর্ণ স্বরূপ প্রদর্শনে স্বস্তি বোধ করে না। আধেয় হিসেবে বঙ্গবন্ধু আধারের প্রতিবন্ধিত্ব ও প্রতিবন্ধকতা একই সঙ্গে মোকাবিলা করেন। প্রসঙ্গক্রমে তক্ষশীলার কূটরাজনীতিবিশারদ কৌটিল্যের স্মরণ নেওয়া যায়। ভারত-ভূমির ভূ-রাজনৈতিক ও ভূ-দার্শনিক ইতিবৃত্ত খতিয়ে দেখলে স্পষ্ট হয় ভারত-রাজনীতির তত্ত্বাদর্শে চাণক্যই একমাত্র মৌলিক পুরুষ; উত্তরকালে যারা রাজনৈতিক চিনত্মাদর্শনে বিশিষ্ট অভিধা পেয়েছেন তারা সবাই ইউরোপের আদলে ও আদর্শে চালিত। একটি বিষয় প্রণিধানযোগ্য, চাণক্য তত্ত্বের জহুরি মাত্র, প্রয়োগের পুরোধা তিনি নন। বঙ্গবন্ধু তত্ত্ব ও প্রয়োগ উভয়েরই প্রাণপুরুষ।
চাণক্য-তত্ত্বযুগ পেছনে ফেলে সুপরিসর ভারত-ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে এসেছেন নতুন তাপস-তত্ত্বে ও প্রয়োগে। তারা কেউ কৌটিল্যের জটিল মানস-লক্ষণ ও কূটনৈতিক ধী-শক্তি অতিক্রম করতে পারেননি। চাণক্যের পর বঙ্গবন্ধুই ভারত-উপমহাদেশের একমাত্র পুরুষ যিনি ভারত-চিন্তার স্বকীয়তা ও সার্বভৌম স্বভাব অক্ষত রেখে তত্ত্বে ও প্রয়োগে অভিনবত্বের স্বাক্ষর রাখেন। তাঁর জাতিরাষ্ট্র-জন্ম-সাফল্যের দিকে দৃষ্টিপাতে গ্রহণশীলতার ঔদার্য যদি একটু বাড়াতে পারি তাহলে বলা যাবে, এশিয়ার বৃহৎ পটভূমিতে তাঁর সমতুল্য আদর্শ-পুরুষ খুঁজে পাওয়া অসম্ভব, যার মধ্যে একসঙ্গে এত জীবনশক্তির প্রকাশ ও কার্যকর লোকমঙ্গলের দৃষ্টান্ত লভ্য।

No comments:

Post a Comment

Photographs, Audio, Video and Text on Bangabandhu  ***Please use Vrinda Font if there is a problem to read Bangla ***       Click o...