প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, '৭ মার্চের ভাষণ এখনো বাংলাদেশের মানুষের জীবনে প্রেরণা যোগায়, যারা তাদের স্বাধীনতার স্বপ্ন পূরণের জন্য লড়াই করছে।' তিনি বলেন, 'এটা বঙ্গবন্ধুর জন্য ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন, যেদিন একদিকে স্বাধীনতাকামী প্রিয় জনগণ তাঁর সামনে হাজির হয়েছিলেন, অপরদিকে তাঁর পেছনে তাক করা ছিল পাকিস্তানীদের বন্দুকের নল। এসময় তিনি পূর্ণ আবেগ, অনুভূতি ও বিশ্বাস এবং দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য নিয়ে রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) আবির্ভুত হন।' গতকাল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি ট্রাস্ট ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে 'একটি ভাষণের বিনির্মাণ : নির্দেশ থেকে দেশ' শীর্ষক আয়োজিত এক সেমিনারে শেখ হাসিনা একথা বলেন। বাংলাদেশের মানুষের জীবনধারার বঙ্গবন্ধুর ভাষণের গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণে বাংলাদেশ যে অচিরেই একটি স্বাধীন দেশে পরিণত হচ্ছে সেই প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন এ ভাষণের চেতনা ও আদর্শ আমাদের সকলের কাছে প্রেরণার উৎস্য হয়ে থাকবে। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত অনেকেই ভাষণের ভিন্ন ভিন্ন দিক ব্যাখ্যা করেছেন, তবে কাব্যিক ছন্দের এই ভাষণের গুরুত্ব ও মাহাত্ম কখনোই এমনকি জাতীয় ইতিহাসের ৪০ বছরেও হারায়নি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য হিসেবে আমরা জানি যে, বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে পাকিস্তানী শাসকদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য বঙ্গবন্ধু প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন এবং ৭ মার্চের ভাষণে এর কিছুটা প্রতিফলন ঘটেছে। এ পর্যায়ে শেখ হাসিনা ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়ার আগে বঙ্গবন্ধুকে বেগম মুজিবের দেয়া পরামর্শের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। এ সময় তিনি যারা বঙ্গবন্ধুকে সরাসরি স্বাধীনতার ঘোষণা প্রদানের জন্য বলেছিলেন, তাদের কথায় প্ররোচিত না হয়ে নিজ বিবেচনায় যা ভাল মনে করবেন তাই ঘোষণা দেয়ার জন্য বঙ্গবন্ধুকে পরামর্শ দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ভাষা আন্দোলনের পর থেকে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার জন্য ধাপে ধাপে জাতিকে প্রস্তুত করে তোলেন। কারণ তিনি বুঝতে পেরেছিলেন স্বাধীনতা ছাড়া বাঙালি জাতির রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন সম্ভব নয়। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চ স্বাধীনতার জন্য তাঁর চূড়ান্ত ঘোষণা দেন এবং তখন থেকেই তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সরকার ও প্রশাসন তাঁর নির্দেশ মতো চলতো। কাজেই আমরা বলতে পারি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে ৭ মার্চ আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণ জাতিকে সংগ্রামে, শত্র" বাহিনীর হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে ঐক্যবদ্ধ হতে এবং সর্বাত্মক যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য সুসংগঠিত করায় অনুপ্রাণিত করে। তিনি আরো বলেন, দেশের জয়লাভের জন্য ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের পর বাঙালি জনগণ বঙ্গবন্ধুর প্রত্যেকটি নির্দেশ মেনে চলে।
নতুন প্রজন্মকে দেশের ইতিহাস জানার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, 'স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি আজও আমাদের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে সক্রিয় থাকায় আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে।'
তিনি বলেন, ' আমাদের স্বাধীনতার আশা-আকাংখা আজও অপূর্ণই রয়ে গেছে এবং বঙ্গবন্ধু হত্যার পর সে স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়। কাজেই ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণের আবেদন আজও আমাদের কাছে গুরুত্ব বহন করে।'
প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করতে তাঁর দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিপদমুক্ত রাখতে এসব যুদ্ধাপরাধীর বিচার সম্পন্ন করা হবে।
তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী এবং দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে সকল শ্রেণী ও পেশার মানুষ, রাজনীতিবিদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য আহ্বান জানান।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক আশরাফ হোসেন। সেমিনারে বক্তারা ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেয়া ভাষণের বাণী, চেতনা ও দিক-নির্দেশনার প্রশংসা করে বলেছেন, যতদিন স্বাধীনতা যুদ্ধের স্বপ্ন - পরিপূর্ণ অর্থনৈতিক মুক্তি না আসবে, ততদিন পর্যন্ত এই ভাষণ জাতিকে প্রেরণা যোগাবে। মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনায় অংশ নেন কুষ্টিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল আহসান চৌধুরী ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শফি আহমেদ। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে স্মৃতি ট্রাস্টের সচিব শেখ হাফিজুর রহমান ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর সৈয়দ সিদ্দিকুর রহমান আলোচনায় অংশ নেন।
তথ্যসুত্রঃ www.albd.org
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণ জাতিকে সংগ্রামে, শত্র" বাহিনীর হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে ঐক্যবদ্ধ হতে এবং সর্বাত্মক যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য সুসংগঠিত করায় অনুপ্রাণিত করে। তিনি আরো বলেন, দেশের জয়লাভের জন্য ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের পর বাঙালি জনগণ বঙ্গবন্ধুর প্রত্যেকটি নির্দেশ মেনে চলে।
নতুন প্রজন্মকে দেশের ইতিহাস জানার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, 'স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি আজও আমাদের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে সক্রিয় থাকায় আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে।'
তিনি বলেন, ' আমাদের স্বাধীনতার আশা-আকাংখা আজও অপূর্ণই রয়ে গেছে এবং বঙ্গবন্ধু হত্যার পর সে স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়। কাজেই ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণের আবেদন আজও আমাদের কাছে গুরুত্ব বহন করে।'
প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করতে তাঁর দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিপদমুক্ত রাখতে এসব যুদ্ধাপরাধীর বিচার সম্পন্ন করা হবে।
তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী এবং দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে সকল শ্রেণী ও পেশার মানুষ, রাজনীতিবিদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য আহ্বান জানান।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক আশরাফ হোসেন। সেমিনারে বক্তারা ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেয়া ভাষণের বাণী, চেতনা ও দিক-নির্দেশনার প্রশংসা করে বলেছেন, যতদিন স্বাধীনতা যুদ্ধের স্বপ্ন - পরিপূর্ণ অর্থনৈতিক মুক্তি না আসবে, ততদিন পর্যন্ত এই ভাষণ জাতিকে প্রেরণা যোগাবে। মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনায় অংশ নেন কুষ্টিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল আহসান চৌধুরী ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শফি আহমেদ। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে স্মৃতি ট্রাস্টের সচিব শেখ হাফিজুর রহমান ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর সৈয়দ সিদ্দিকুর রহমান আলোচনায় অংশ নেন।
তথ্যসুত্রঃ www.albd.org
No comments:
Post a Comment